স্লোভেনিয়া কাজের ভিসা ২০২৫ (আবেদন, খরচ, বেতন)
বাংলাদেশের কর্মসংস্থানের বাজারে নতুন আশার আলো জাগাচ্ছে ইউরোপের অন্যতম সমৃদ্ধ দেশ স্লোভেনিয়া। দেশটি বিদেশি দক্ষ ও আধা-দক্ষ কর্মীদের জন্য স্লোভেনিয়া কাজের ভিসা উন্মুক্ত করতে যাচ্ছে। এটি বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছে।
যেখানে তারা ইউরোপের উন্নত জীবনযাত্রা উপভোগ করার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের নতুন ক্ষেত্র খুঁজে নিতে পারবেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য এই দেশটি মূলত পর্যটন, কৃষি, নির্মাণ, স্বাস্থ্যসেবা এবং প্রযুক্তি খাতে ব্যাপক কর্মী সংকটে ভুগছে।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির ধীর গতি ও স্থানীয় শ্রমিক সংকটের কারণে সরকার বৈদেশিক কর্মীদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন নীতিমালা শিথিল করছে। দক্ষ ও অদক্ষ কর্মীদের জন্য স্লোভেনিয়া কাজের ভিসার কারণে এখন এক নতুন কর্মক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
স্লোভেনিয়া কাজের ভিসা পাওয়ার উপায়
স্লোভেনিয়া কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য কিছু নির্দিষ্ট ধাপ অনুসরণ করতে হয়। প্রথমেই আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে যে আপনি কোন ধরনের ভিসার জন্য আবেদন করবেন। স্লোভেনিয়ায় কাজ করতে হলে ওয়ার্ক পারমিট ও রেসিডেন্স পারমিট প্রয়োজন হয়। এসব অনুমোদন ছাড়া দেশটিতে কাজ করা সম্ভব নয়।
স্লোভেনিয়ার একটি নিয়োগকর্তার কাছ থেকে কাজের অফার (Job Offer) সংগ্রহ করতে হবে। নিয়োগকর্তা ওয়ার্ক পারমিটের আবেদন করবেন। এটি অনুমোদন পাওয়ার পর রেসিডেন্স পারমিটের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ প্রক্রিয়ায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়।
ভিসা আবেদনের সময় দূতাবাস বা কনস্যুলেট থেকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হতে পারে। আবেদন সফলভাবে গৃহীত হলে পাসপোর্টে ভিসার স্ট্যাম্প দেওয়া হবে। সতর্কতার সঙ্গে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা জরুরি। প্রতারক এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন না করে, শুধু স্বীকৃত ও বিশ্বস্ত এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করা উচিত।
স্লোভেনিয়া যেতে কি কি লাগে?
- বৈধ পাসপোর্ট
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
- কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট
- কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট
- ভিসা আবেদন ফর্ম
- কাজের অফার লেটার
- ওয়ার্ক পারমিট
- স্বাস্থ্য বীমা
স্লোভেনিয়া যেতে কত টাকা লাগে?
বাংলাদেশ থেকে স্লোভেনিয়া গমনেচ্ছুদের জন্য খরচ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয়। স্লোভেনিয়া যাওয়ার খরচ বিভিন্ন উপাদানের উপর নির্ভর করে থাকে। যেমন: ভিসার ধরন, প্রসেসিং পদ্ধতি, এবং বিমান ভাড়া ইত্যাদি। বর্তমানে কাজের ভিসার জন্য স্লোভেনিয়া যেতে প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা খরচ হতে পারে।
বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করলে খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি হয়। তবে নিজে থেকে চাকরি সংগ্রহ করে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলে ব্যয় কিছুটা কম হতে পারে। অন্যদিকে, স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে খরচ প্রায় ৪ থেকে ৬ লাখ টাকার মধ্যে হতে পারে। শিক্ষার্থীরা স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে স্লোভেনিয়া গেলে পার্টটাইম কাজের সুযোগ পায়।
স্লোভেনিয়া বেতন কত?
স্লোভেনিয়া ইউরোপের একটি সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ দেশটির শ্রম আইন অনুযায়ী, কর্মীদের জন্য একটি নির্দিষ্ট ন্যূনতম বেতন কাঠামো নির্ধারিত রয়েছে।বর্তমানে স্লোভেনিয়া মাসিক সর্বনিম্ন বেতন প্রায় ১,০২৪ ইউরো। তবে বেতন কাঠামো বিভিন্ন খাত ও দক্ষতার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।
কর্মীরা আইন অনুযায়ী সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা পূর্ণকালীন কাজ করেন যা সাধারণত দৈনিক ৮ ঘণ্টা করে নির্ধারিত। অতিরিক্ত আয়ের সুযোগ হিসেবে, স্লোভেনিয়ার শ্রম আইনে বছরে সর্বোচ্চ ১৭০ ঘণ্টা পর্যন্ত ওভারটাইম কাজের অনুমতি রয়েছে। ওভারটাইমের ক্ষেত্রে কর্মীদের অতিরিক্ত পারিশ্রমিক প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন:

যেকোনো ধরনের তথ্য জানতে টেলিগ্রামে যুক্ত হতে পারেন। ২৪ ঘণ্টা বিভিন্ন দেশের ভিসা সম্পর্কে আপডেট পাবেন। ফ্রি ভিসা তথ্য ও সার্ভিস পেতে এখনই লিংকে ক্লিক করে আমাদের অফিসিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেল যুক্ত হোন: বিডি ভিসা তথ্য