সৌদি আরবের ভিসার দাম কত ২০২৫ (সর্বশেষ আপডেট)
সৌদি আরব মুসলমানদের জন্য একটি পবিত্র দেশ, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলিমরা বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করে থাকেন। কেউ হজ পালনের জন্য যান, কেউ কর্মসংস্থানের জন্য, আবার অনেকে উচ্চশিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে সেখানে পাড়ি জমান। আপনি যদি সৌদি আরব ভ্রমণের পরিকল্পনা করে থাকেন, তবে প্রথমেই সৌদি আরবের ভিসার দাম কত জানা দরকার । সঠিক ভিসা সম্পর্কে ধারণা থাকলে আপনার যাত্রাপথ অনেক সহজ হবে।
সৌদি আরবে ভিসার ধরন মূলত ভ্রমণের উদ্দেশ্যের ওপর নির্ভর করে। কাজের উদ্দেশ্যে যারা যেতে চান, তাদের এমন ভিসা বেছে নেওয়া উচিত যা খরচ-সাশ্রয়ী এবং প্রয়োজনীয় সুবিধাসম্পন্ন। আজকের এই লেখায় সৌদি আরবের সৌদি আরবের ভিসার দাম কত এবং সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইল।
সৌদি আরবের ভিসার দাম কত ২০২৫
সৌদি আরবে যাওয়ার খরচ মূলত নির্ভর করে আপনার ভিসার ধরন এবং এর মেয়াদের ওপর। ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিসা ফি ভিন্ন হতে পারে যা আপনার সামগ্রিক যাত্রা খরচে প্রভাব ফেলে। তাই সৌদি আরবে যাওয়ার আগে ভিসার খরচ সম্পর্কিত সঠিক তথ্য জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে যারা ওমরাহ পালন করতে যেতে চান, তাদের জন্য সৌদি আরবে কোনো আলাদা ভিসার প্রয়োজন নেই। ফলে ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে যাত্রা করলে অন্যান্য ভ্রমণের তুলনায় খরচ তুলনামূলকভাবে কম হয়।
ক্রমিক নম্বর | ভিসা ক্যাটাগরি | মোট ভিসা খরচ (টাকা) |
---|---|---|
১ | ক্লিনার ভিসা | ৪-৫ লাখ |
২ | মাজরার ভিসা | ৩-৪ লাখ |
৩ | সুপার মার্কেট ভিসা | ৪-৫ লাখ |
৪ | আমেল মঞ্জিল ভিসা | ৩-৪ লাখ |
৫ | চাওয়াক খাছ ভিসা | ৪-৫ লাখ |
৬ | আমেল আইদি ভিসা | ৪-৫ লাখ |
৭ | ওমরা ভিসা | ১-২ লাখ |
৮ | সৌদি ফ্রি ভিসা | ৫-৬ লাখ |
সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো ২০২৫
সৌদি আরব বিশ্বের অন্যতম প্রধান কর্মক্ষেত্র যেখানে বিভিন্ন দেশ থেকে অসংখ্য মানুষ কাজের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। বাংলাদেশ থেকেও প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক লোক বৈধভাবে সৌদি আরবে যায়। কেউ যান কর্মসংস্থানের জন্য, আবার কেউ যান হজ পালনের জন্য।
তবে সৌদি আরবে যাওয়ার আগে সবারই জেনে নেওয়া উচিত সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো। সঠিক ভিসা নির্বাচন করলে কম খরচে সৌদি আরব যাত্রা সহজ হয়। সৌদি সরকার বিভিন্ন উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের ভিসা প্রদান করে, যা ভ্রমণকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী ভিন্ন হয়ে থাকে। নিচে সৌদি আরবের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ভিসা ক্যাটাগরি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
আমেল আইদি ভিসা
আমেল আইদি ভিসায় কাজ করার জন্য আপনাকে সৌদি আরবের কফিল বা মালিকের অধীনে কাজ করতে হয়। এই ভিসা পাওয়ার জন্য কফিলের অনুমতি বাধ্যতামূলক। কফিলের অনুমতি ছাড়া আপনি কোনো ধরনের কাজ করতে পারবেন না। ভিসা পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ কফিলকে প্রদান করতে হয়। এটি মূলত নির্দিষ্ট কাজের জন্য নির্ধারিত ভিসা।
ক্লিনার ভিসা
অদক্ষ কর্মীদের জন্য ক্লিনার ভিসা একটি আদর্শ পছন্দ। যারা কোনো নির্দিষ্ট দক্ষতা ছাড়াই সৌদি আরবে কাজ করতে চান, তারা এই ভিসার মাধ্যমে যেতে পারেন। মূলত পরিচ্ছন্নতার কাজে নিয়োজিত হওয়ার জন্য এই ভিসা দেওয়া হয়। কঠোর পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকলে এই ভিসায় গিয়েও ভালো উপার্জন করা সম্ভব।
মাজরার ভিসা
মাজরার ভিসা মূলত বাগানের শ্রমিকদের জন্য নির্ধারিত। সৌদি আরবে বাগানে কাজ করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা এই ভিসা নিতে পারেন। এই ভিসায় কাজের জন্য দক্ষতা থাকা বাধ্যতামূলক নয়, অদক্ষ ব্যক্তিরাও আবেদন করতে পারেন। বাগানের কাজ তুলনামূলক কঠিন হলেও এটি ভালো আয়ের সুযোগ এনে দেয়। এই ভিসার ফি সাধারণত অন্যান্য ভিসার তুলনায় কম।
সুপার মার্কেট ভিসা
যারা সৌদি আরবে সুপার মার্কেটে কাজ করার পরিকল্পনা করছেন, তাদের জন্য রয়েছে সুপার মার্কেট ভিসা। এই ভিসার মাধ্যমে আপনি সৌদি আরবের বিভিন্ন সুপার মার্কেটে কাজ করতে পারবেন। সুপার মার্কেটে কাজ করার সুবিধার মধ্যে অন্যতম হলো ওভারটাইম করার সুযোগ, যা আপনার আয়ের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। সঠিক পরিকল্পনা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে এই ভিসায় গিয়েও উল্লেখযোগ্য আয় সম্ভব।
আমেল মঞ্জিল ভিসা
সৌদি আরবের বাসাবাড়িতে কাজ করার জন্য বিশেষভাবে নির্ধারিত ভিসা হলো আমেল মঞ্জিল ভিসা। এই ভিসায় গিয়ে আপনি দারোয়ান, কেয়ারটেকার, বা ক্লিনারের মতো কাজ করতে পারবেন। তবে এই ভিসায় আপনি শুধুমাত্র মালিকের অনুমতির অধীন কাজ করতে পারবেন এবং অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ নেই। এ ভিসাটি প্রতি বছর নবায়ন করতে হয়, যার জন্য আনুমানিক খরচ পড়ে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।
চাওয়াক খাছ ভিসা
চাওয়াক খাছ ভিসা মূলত সৌদি আরবে ড্রাইভারদের জন্য নির্ধারিত। এই ভিসায় আপনি সৌদি মালিকের অধীনে ড্রাইভিং পেশায় কাজ করতে পারবেন। তবে অন্যান্য অনেক ভিসার মতোই, এই ভিসায় মালিকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোনো জায়গায় কাজ করার অনুমতি নেই।
সৌদি ফ্রি ভিসা
বর্তমানে সৌদি ফ্রি ভিসার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। তবে এটি অতীতে অনেকের জন্য বিশেষ সুযোগ হিসেবে বিবেচিত হতো। ফ্রি ভিসার মাধ্যমে আপনি নির্দিষ্ট কাজের চুক্তিতে আবদ্ধ না হয়ে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করার সুযোগ পেতেন। যদিও এটি আকর্ষণীয়, তবে অনেক দালাল বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে মানুষকে প্রতারিত করার চেষ্টা করে। তাই এ বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি।
সৌদি কোম্পানি ভিসা
সৌদি কোম্পানি ভিসা কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে অন্যতম সেরা একটি পছন্দ। এই ভিসায় গেলে আপনি সৌদি আরবের বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করার সুযোগ পাবেন। কোম্পানিতে কাজের সুবিধা হিসেবে পাওয়া যায় ভালো বেতন, চাকরির নিরাপত্তা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা। তবে এ ভিসা পেতে হলে আপনাকে পেশাগত দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং একটি ভালো কোম্পানিতে চাকরি নিশ্চিত করতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য সঠিক ভিসা নির্বাচন আপনাকে আর্থিক সাশ্রয় এবং কাজের ক্ষেত্রে সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে পারে। তাই ভিসা আবেদন করার আগে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সৌদি আরবের ভিসার দাম কত এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আরও পড়ুন:

যেকোনো ধরনের তথ্য জানতে টেলিগ্রামে যুক্ত হতে পারেন। ২৪ ঘণ্টা বিভিন্ন দেশের ভিসা সম্পর্কে আপডেট পাবেন। ফ্রি ভিসা তথ্য ও সার্ভিস পেতে এখনই লিংকে ক্লিক করে আমাদের অফিসিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেল যুক্ত হোন: বিডি ভিসা তথ্য