রোমানিয়া ভিসার দাম কত ২০২৫ (সর্বশেষ আপডেট)
রোমানিয়া ইউরোপের একটি আকর্ষণীয় দেশ যেখানে প্রবেশের প্রক্রিয়া তুলনামূলকভাবে সহজ এবং কম খরচে সম্ভব। প্রতি বছর অনেক মানুষ কাজের জন্য রোমানিয়া যায়। কারণ এখানে ভিসা পাওয়া তুলনামূলক সহজ। তবে রোমানিয়া ভিসার দাম কত তা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা জরুরি। কারণ অনেক সময় এজেন্সি অতিরিক্ত টাকা দাবি করতে পারে।
যারা রোমানিয়া কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান, তাদের জন্য বেতনের বিষয়েও ধারণা থাকা উচিত। অনেক সময় এজেন্সি উচ্চ বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে থাকে। রোমানিয়া ইউরোপের উন্নত দেশ এবং এখানকার জীবনযাত্রার মান অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক ভালো। এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়লে রোমানিয়া ভিসার দাম কত জানতে পারবেন।
রোমানিয়া ভিসার দাম কত ২০২৫
রোমানিয়ায় যেতে খরচ নির্ভর করে ভিসার ক্যাটাগরি এবং মেয়াদের উপর। কেউ পড়াশোনার জন্য গেলে স্টুডেন্ট ভিসা, কাজের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, চিকিৎসার জন্য মেডিকেল ভিসা, কিংবা ভ্রমণের জন্য টুরিস্ট ভিসা নিতে হবে। প্রতিটি উদ্দেশ্যের জন্য নির্দিষ্ট ভিসা ক্যাটাগরি রয়েছে এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় খরচ নির্ধারিত হয়।
ভিসার খরচের মধ্যে সাধারণত মেডিকেল পরীক্ষা, পাসপোর্ট প্রসেসিং, পুলিশ ভেরিফিকেশন, ভিসা আবেদন ফি, বিমানের টিকিট, এজেন্সি ফি, ভাষা শেখার খরচ এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে। ভিসার প্রকারভেদ অনুসারে খরচের পরিমাণ ভিন্ন হতে পারে। এই টেবিলের মাধ্যমে আপনি রোমানিয়া ভিসার দাম কত সেটা সম্পর্কে আনুমানিক ধারণা পেতে পারেন।
ক্রমিক নম্বর | ভিসা ক্যাটাগরি | ভিসা খরচ (টাকা) |
---|---|---|
১ | স্টুডেন্ট ভিসা | ৪-৫ লক্ষ |
২ | ড্রাইভিং ভিসা | ৭-৮ লক্ষ |
৩ | ওয়ার্ক পারমিট ভিসা | ৮-১০ লক্ষ |
৪ | গার্মেন্টস ভিসা | ৬-৭ লক্ষ |
৫ | কোম্পানি ভিসা | ১১-১৩ লক্ষ |
৬ | জব ভিসা | ১০-১২ লক্ষ |
৭ | কৃষি ভিসা | ৬-৭ লক্ষ |
৮ | টুরিস্ট ভিসা | ৫-৬ লক্ষ |
৯ | সিজনাল ভিসা | ৬-৭ লক্ষ |
সরকারিভাবে রোমানিয়া যাওয়ার উপায় ২০২৫
প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে অনেক লোক রোমানিয়ায় কাজের উদ্দেশ্যে যায়। সরকারিভাবে গেলে তুলনামূলক কম খরচে যাওয়া সম্ভব, কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোম্পানি প্রয়োজনীয় খরচ বহন করে থাকে। রোমানিয়ার বিভিন্ন কোম্পানি চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ দেয়, যা সাধারণত বোয়েসেলের (BOESL) মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
সরকারিভাবে রোমানিয়া যেতে বোয়েসেলের ওয়েবসাইট নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে। বোয়েসেল তাদের অফিসিয়াল সার্কুলারের মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগের তথ্য প্রকাশ করে থাকে। সার্কুলার প্রকাশের পর প্রার্থীদের নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় আবেদন করতে হয়। আবেদনকারীদের মধ্যে সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে যোগ্যদের বাছাই করা হয়।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও দক্ষতার প্রমাণপত্র জমা দিতে হয়। সাক্ষাৎকারে উত্তীর্ণ হলে এবং রোমানিয়ার দূতাবাস থেকে ভিসা অনুমোদন পেলে চূড়ান্তভাবে রোমানিয়া যাওয়া সম্ভব হয়।
রোমানিয়া যেতে কি কি লাগে?
রোমানিয়ায় বিভিন্ন উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য ভিসার ধরন অনুযায়ী কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়। ভিসার ক্যাটাগরিভেদে কিছু নির্দিষ্ট কাগজপত্র দরকার হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একই ধরনের কাগজপত্র প্রয়োজন। সঠিক কাগজপত্র ছাড়া ভিসার আবেদন সম্পন্ন করা সম্ভব নয় এবং সঠিকভাবে আবেদন না করলে ভিসা অনুমোদনের সম্ভাবনা কমে যায়। রোমানিয়া যেতে কি কি লাগে তা জানা অত্যন্ত জরুরি। এ বিষয়ে একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শ গ্রহণ করলে আবেদন প্রক্রিয়া সহজ হবে।
রোমানিয়া যেতে যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন:
- বৈধ পাসপোর্ট
- পূরণকৃত ভিসা আবেদন ফর্ম
- কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট
- কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ
- ইংরেজি ভাষার দক্ষতার সার্টিফিকেট (আবশ্যিক নয়)
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
- জাতীয় পরিচয়পত্র
- পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্ট
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট
- রোমানিয়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অফার লেটার (স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)
- ভ্রমণ বীমা (টুরিস্ট ভিসার জন্য)
- আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ (ব্যাংক স্টেটমেন্ট)
- ভ্রমণের উদ্দেশ্যের প্রমাণ (টুরিস্ট ভিসার জন্য)
- অন্যান্য সহায়ক কাগজপত্র
রোমানিয়া যেতে কত বয়স লাগে ২০২৫
রোমানিয়ায় যাওয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট বয়সসীমা নেই। তবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য ১৮ থেকে ২১ বছরের মধ্যে থাকা ভালো। চিকিৎসা, ভ্রমণ বা অন্যান্য ভিসার জন্য সাধারণত কোনো ন্যূনতম বয়সসীমার প্রয়োজন নেই।
অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে অভিভাবকের অনুমতি বাধ্যতামূলক। অভিভাবকের সঙ্গে ভ্রমণ করলে জন্ম সনদের অনুবাদ ও নোটারাইজড অনুমতিপত্র প্রয়োজন। অভিভাবক ছাড়া ভ্রমণ করলে নোটারাইজড অনুমতিপত্র এবং অভিভাবকের যোগাযোগের তথ্য প্রদান করতে হবে।
FAQs
রোমানিয়া এম্বাসি কি বাংলাদেশে আছে ২০২৫
হ্যাঁ, বাংলাদেশে রোমানিয়ার একটি অনারারি কনস্যুলেট রয়েছে। ঠিকানা: Cosmos Centre, 69/1, New Circular Road, মালিবাগ, ঢাকা – ১২১৭। যোগাযোগের নম্বর: +880241030449
বাংলাদেশ থেকে রোমানিয়া কত কিলোমিটার?
বাংলাদেশ থেকে রোমানিয়ার সরাসরি বিমান দূরত্ব প্রায় ৬,২৭৭ কিলোমিটার (৩,৯০০ মাইল)।
ঢাকা টু রোমানিয়া বিমান ভাড়া কত?
ঢাকা টু রোমানিয়া বিমান ভাড়া প্রায় ৮০,০০০ টাকা থেকে ২ লাখ টাকা লাগে।
রোমানিয়া কি সেনজেন ভুক্ত দেশ?
হ্যাঁ, রোমানিয়া ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে সেনজেন অঞ্চলের পূর্ণ সদস্য হয়েছে।
রোমানিয়ার ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা?
১ রোমানিয়ান লেউ (RON) সমান প্রায় ২৬.৫৩ বাংলাদেশি টাকা (BDT) ।
আরও পড়ুন:

যেকোনো ধরনের তথ্য জানতে টেলিগ্রামে যুক্ত হতে পারেন। ২৪ ঘণ্টা বিভিন্ন দেশের ভিসা সম্পর্কে আপডেট পাবেন। ফ্রি ভিসা তথ্য ও সার্ভিস পেতে এখনই লিংকে ক্লিক করে আমাদের অফিসিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেল যুক্ত হোন: বিডি ভিসা তথ্য