পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫
বাংলাদেশ থেকে পড়াশোনা, চাকরি ও ভ্রমণের উদ্দেশ্যে ইউরোপের দেশ পর্তুগাল যেতে আগ্রহীদের পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে জানতে হবে। পর্তুগাল ইউরোপের মধ্যম আয়ের একটি দেশ। এটি ইউরোপের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে অবস্থিত।
পর্তুগালে বিদেশি কর্মীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীরা চাইলে পড়াশোনার পাশাপাশি খন্ডকালীন কাজে নিয়োজিত হতে পারে। আর এই দেশের কাজের বেতন তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের এই দেশে যেতে আগ্রহীদের অবশ্যই পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে জেনে রাখতে হবে। এছাড়া পর্তুগাল যাওয়ার সহজ উপায়, ভিসার দাম, বয়সসীমা ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।
পর্তুগাল যাওয়ার সহজ উপায়
বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা। স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা থাকলে বিশ্বের যেকোনো দেশে সহজে যাওয়া যায়। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ও টুরিস্ট ভিসা নিয়ে পর্তুগাল যাওয়া যায়।
পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রথমে পর্তুগালের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হবে। এছাড়া ইংরেজি ভাষা দক্ষতা ও পর্তুগালে পড়াশোনা ও থাকা-খাওয়ার খরচ চালানোর সক্ষমতা থাকতে হবে।
পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে আবেদনকারীদের বৈধ কাজের অফার লেটার ঐ দেশের কোম্পানির কাছ থেকে সংগ্রহ করতে হবে। এছাড়া ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা প্রয়োজন হতে পারে।
আর টুরিস্ট ভিসার আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে উচ্চ পেশা, শক্তিশালী ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও ট্রাভেল রেকর্ড থাকতে হয়। ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে এই ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে উল্লেখিত যোগ্যতা থাকলে যে কেউ পর্তুগাল টুরিস্ট ভিসা পেয়ে যাবে।
পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে?
বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে সাধারণত খরচ কম লাগে। এই দেশের ভিসা পাওয়ার রেশিও সবচেয়ে বেশি থাকে। উদ্দেশ্য অনুযায়ী ভিসা ক্যাটাগরি আলাদা হয়ে থাকে। আর ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী পর্তুগাল ভিসার খরচ ভিন্ন হয়ে থাকে।
বর্তমান বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে প্রায় ৬ লাখ টাকা থেকে ১২ লাখ টাকা লাগে। বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করলে খরচ তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে। তবে স্টুডেন্ট ও টুরিস্ট ভিসার খরচ তুলনামূলক কম হয়ে থাকে।
নিজে নিজে পর্তুগাল ভিসা প্রসেসিং করলে ভিসার খরচ কম লাগে। বাংলাদেশে পর্তুগালের এম্বাসি নেই। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে গিয়ে ভিসা প্রসেসিং করতে হবে। ইউরোপের এই দেশে যেতে আগ্রহীদের পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে জানতে হবে।
পর্তুগাল ভিসার দাম কত?
পর্তুগাল ভিসার অফিসিয়াল দাম ভিসা ক্যাটাগরি ও আবেদনকারীর বয়সের উপর নির্ভর করে ভিন্ন হয়ে থাকে। বর্তমান পর্তুগাল ভিসার দাম প্রায় ৪০ ইউরো থেকে ১৫০ ইউরো পর্যন্ত হয়ে থাকে।
নিজে নিজে ভিসা প্রসেসিং করলে অফিসিয়াল খরচে পর্তুগাল ভিসা পাওয়া যায়। বেসরকারি বিভিন্ন এজেন্সি কিংবা দালালের মাধ্যমে পর্তুগালের ভিসা প্রসেসিং করলে পর্তুগাল ভিসার দাম বেশি লাগে।
পর্তুগাল যেতে কত বয়স লাগে?
পর্তুগাল ভিসা আবেদন করার জন্য সাধারণত বয়সের কোন সীমাবদ্ধতা নেই। টুরিস্ট, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ও স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনকারীদের ভিসা আবেদন করলে ১৮ বছর হতে হয়।
তবে টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে ১৮ বছরের কম হলে অবশ্যই অভিভাবকের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।
FAQs
পর্তুগাল টুরিস্ট ভিসা কত টাকা লাগে?
পর্তুগাল টুরিস্ট ভিসা খরচ প্রায় ৪ লাখ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা হয়ে থাকে।
পর্তুগাল ভিজিট ভিসা ফি কত?
পর্তুগাল ভিজিট ভিসা আবেদন ফি মাত্র ৯০ ইউরো।
পর্তুগাল পাসপোর্ট দিয়ে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়?
পর্তুগালের পাসপোর্ট অনেক বেশি শক্তিশালী। এই দেশের পাসপোর্ট দিয়ে ভিসা ছাড়াই বা অন-অ্যারাইভাল ভিসায় বিশ্বের প্রায় ১৮৮টি দেশে ভ্রমণ করা যায়। যেমন: ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ইত্যাদি দেশ।
বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল কত কিলোমিটার?
বাংলাদেশ থেকে পর্তুগালের দূরত্ব প্রায় ৯ হাজার ৪৭ কিলোমিটার।
বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল বিমান ভাড়া কত?
বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল বিমান ভাড়া প্রায় ৭০ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকা হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন:

যেকোনো ধরনের তথ্য জানতে টেলিগ্রামে যুক্ত হতে পারেন। ২৪ ঘণ্টা বিভিন্ন দেশের ভিসা সম্পর্কে আপডেট পাবেন। ফ্রি ভিসা তথ্য ও সার্ভিস পেতে এখনই লিংকে ক্লিক করে আমাদের অফিসিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেল যুক্ত হোন: বিডি ভিসা তথ্য