কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে বাংলাদেশের অনেক প্রবাসী বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত রয়েছে। অনেকে বাংলাদেশ থেকে এই দেশে যেতে চায়। এজন্য আগ্রহীদের বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে ধারণা রাখতে হয়।
কুয়েত মধ্যপ্রাচ্যের ছোট একটি রাষ্ট্র। এই দেশের অর্থনীতি মূলত তেল রপ্তানির উপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যাওয়ার খরচ ভিসা ক্যাটাগরি, ভিসার মেয়াদ ও প্রসেসিং এজেন্সির ভিত্তি করে ভিন্ন হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে পড়াশোনা, ভ্রমণ ও কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চাইলে আগ্রহীদের কুয়েতে যেতে কত টাকা লাগে জানতে হবে। এছাড়া কুয়েত যাওয়ার উপায়, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও বয়সসীমা ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে সাধারণত ওয়ার্ক ভিসা, টুরিস্ট ভিসা ও স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যাওয়া যায়। তবে কুয়েত ওয়ার্ক ভিসা নিয়ে সাধারণত বেশি মানুষ যায়। কুয়েতে সরকারিভাবে ও বেসরকারিভাবে বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার উপায় রয়েছে।
কুয়েত কাজের ভিসা নিজে নিজে প্রসেসিং করতে চাইলে কোম্পানির কাছ থেকে ইনভাইটেশন লেটার সংগ্রহ করতে হয়। তবে এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করলে এই লেটার এজেন্সি সংগ্রহ করে দেয়। এক্ষেত্রে এজেন্সিকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি দিতে হবে।
এছাড়া পড়াশোনা ও ভ্রমণের উদ্দেশ্যে স্টুডেন্ট ও টুরিস্ট ভিসা নিয়ে এদেশে সহজে যেতে পারেন। স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে কুয়েতের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ভর্তির অফার লেটার সংগ্রহ করতে হয়। টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও ট্রাভেল রেকর্ড গুরুত্বপূর্ণ।
কুয়েত যেতে কি কি লাগে?
কুয়েত যাওয়ার উদ্দেশ্য অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ভিন্ন হয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যেতে নিম্নে উল্লেখিত কাগজপত্র প্রস্তুত করতে হবে:
- পাসপোর্ট
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট
- কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট
- কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে?
বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যাওয়ার খরচ ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী কম বেশি হয়ে থাকে। আর উদ্দেশ্য অনুযায়ী ভিসা ক্যাটাগরি সাধারণত ভিন্ন হয়ে থাকে। কুয়েতে যেতে আগ্রহীদের অবশ্যই কুয়েতে যেতে কত টাকা লাগে জানতে হবে।
বর্তমান বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসা নিয়ে কুয়েতে যেতে প্রায় ৫ লাখ টাকা থেকে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত লাগে। বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে কুয়েতে যাওয়ার খরচ তুলনামূলক কম। তবে বিভিন্ন এজেন্সি কিংবা দালালের মাধ্যমে কুয়েতে যাওয়ার খরচ বেশি হয়ে থাকে।
বর্তমান বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে কুয়েতে পড়াশোনা করার জন্য যেতে প্রায় ৩ লাখ টাকা থেকে ৩ লাখ টাকা খরচ হয়। আর টুরিস্ট ভিসা পেতে আবেদনকারীদের সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা খরচ করতে হয়। নিজে নিজে কুয়েত ভিসা প্রসেসিং করলে অফিসিয়াল খরচে কুয়েত যাওয়া সম্ভব।
কুয়েত যেতে কত বছর বয়স লাগে?
বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যেতে বয়সের শর্ত পূরণ করতে হয়। স্টুডেন্ট ও টুরিস্ট ভিসা আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে ১৮ বছর হতে হবে। তবে টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে ১৮ বছরের কম হলে অভিভাবকের অনুমতিপত্র নিতে হবে।
কাজের ভিসা নিয়ে কুয়েত যেতে চাইলে কমপক্ষে ২১ বছর বয়স হতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে ১৮ বছর হলেও ভিসা আবেদন করা যায়। আবেদনকারীদের বয়স ২১-৩০ বছরের মধ্যে হলে কুয়েত কাজের ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
FAQs
কুয়েত কোন ভিসা ভালো?
কুয়েত কোম্পানি ভিসা সবচেয়ে ভালো। কারণ এই ভিসা নিয়ে গেলে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা পাওয়া যায়। যেমন: থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা, আসা ও যাওয়ার ব্যবস্থা ইত্যাদি।
সরকারিভাবে কুয়েত যাওয়ার উপায় কী?
বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে কুয়েতে যাওয়ার জন্য বোয়েসেল, বিএমইটি ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে হতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে কুয়েত বিমান ভাড়া কত?
বাংলাদেশ থেকে কুয়েত বিমান ভাড়া প্রায় ৫০ হাজার টাকা থেকে ৭০ হাজার টাকা।
বাংলাদেশ টু কুয়েত কত কিলোমিটার?
বাংলাদেশ থেকে কুয়েতের দূরত্ব প্রায় ৪ হাজার ২৮৬ কিলোমিটার।
বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে কত সময় লাগে?
বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে প্রায় ৭ ঘন্টা সময় লাগে।
আরও পড়ুন:

যেকোনো ধরনের তথ্য জানতে টেলিগ্রামে যুক্ত হতে পারেন। ২৪ ঘণ্টা বিভিন্ন দেশের ভিসা সম্পর্কে আপডেট পাবেন। ফ্রি ভিসা তথ্য ও সার্ভিস পেতে এখনই লিংকে ক্লিক করে আমাদের অফিসিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেল যুক্ত হোন: বিডি ভিসা তথ্য