সাইপ্রাস যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫
সাইপ্রাস একটি ইউরোপীয় দ্বীপ রাষ্ট্র যেটির কাজের সুযোগ এবং উচ্চ জীবনযাত্রার মান প্রবাসীদের জন্য আকৃষ্ট করে থাকে। এই দেশে যেতে আগ্রহীদের অবশ্যই সাইপ্রাস যেতে কত টাকা লাগে সঠিক ধারণা রাখতে হবে।
সাইপ্রাসে যেতে হলে নির্দিষ্ট কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। ভিসা প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে দেশটিতে বসবাসের প্রস্তুতি পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে সঠিক পরিকল্পনা প্রয়োজন। বিভিন্ন ধরনের ভিসা নিয়ে ইউরোপের এই দেশে যাওয়া যায়।
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের এই দেশে যেতে চাইলে অবশ্যই সাইপ্রাস যেতে কত টাকা লাগে জানতে হবে। এছাড়া সাইপ্রাস যাওয়ার উপায়, ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, বয়সসীমা ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে হবে।
সাইপ্রাস যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে দুই ধরনের সাইপ্রাসে যাওয়া যায়। উত্তর সাইপ্রাস এবং গ্রিক সাইপ্রাস। এই দুটি দেশে যাওয়ার উদ্দেশ্য অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন ভিসা ক্যাটাগরি রয়েছে। যেমন: স্টুডেন্ট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ইত্যাদি।
এই দুটি দেশে বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক ভিসা নিয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ যায়। সাইপ্রাসে বৈধভাবে কাজ করার জন্য ওয়ার্ক ভিসা বাধ্যতামূলক। ভিসার আবেদন করতে হলে নিকটস্থ সাইপ্রাস দূতাবাসের মাধ্যমে আবেদন জমা দিতে হবে।
বিশ্বস্ত রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কাজের সন্ধান করলে প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয়। সাইপ্রাস যাওয়ার আগে নিয়োগকর্তার সঙ্গে লিখিত চুক্তিপত্র নিশ্চিত করা জরুরি। এতে বেতন, কাজের সময়, ওভারটাইম সুবিধা এবং অন্যান্য শর্তাবলী উল্লেখ থাকতে হবে।
এছাড়া বাংলাদেশ থেকে টুরিস্ট ভিসা ও স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে ইউরোপের এই দেশে সহজে যেতে পারবেন। এই দেশের কাজের ভিসার খরচ কম হয়ে থাকে। এই দেশের ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।
সাইপ্রাস যেতে কি কি লাগে?
বাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাস যাওয়ার জন্য আবেদনকারীদের নিম্নে উল্লিখিত গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র রেডি করতে হয়। ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী কাগজের ভিন্নতা রয়েছে। যেমন:
- বৈধ পাসপোর্ট
- ভিসা আবেদন ফরম
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- চাকরির অফার লেটার
- কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট
- ভিসা আবেদন ফি
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- আইইএলটিএস স্কোর
- আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ (ব্যাংক স্টেটমেন্ট)
- মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
- পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির অফার লেটার
- রিকমেন্ডেশন লেটার
- ট্রাভেল রেকর্ড
তুর্কি সাইপ্রাস যেতে কত টাকা লাগে?
তুর্কি সাইপ্রাসের অপর নাম উত্তর সাইপ্রাস। কাজের ভিসা এই দেশে যেতে চাইলে অবশ্যই ভিসা খরচ সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখতে হবে। সরকারিভাবে এই দেশে যাওয়ার কোন সুযোগ না থাকার কারণে বেসরকারিভাবে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করতে হয়।
বর্তমান বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসা নিয়ে তুর্কি সাইপ্রাসে যেতে প্রায় ৫ লাখ টাকা থেকে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে। বেসরকারিভাবে ভিসা প্রসেসিং করার জন্য খরচ বেশি হয়। তবে নিজে নিজে ভিসা প্রসেসিং করলে অফিসিয়াল খরচ হবে।
গ্রিক সাইপ্রাস যেতে কত টাকা লাগে?
তুর্কি সাইপ্রাসের চেয়ে গ্রিক সাইপ্রাসের ভিসা খরচ তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে। কারণ এটি ইউরোপের অন্তর্ভুক্ত অংশ। এই দেশে কাজের বেতন তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে।
বর্তমান বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে এই দেশে সবচেয়ে বেশি যায়। বেসরকারি বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করলে খরচ বেশি হয়ে থাকে। সেজন্য নিজে নিজে ভিসা প্রসেসিং করতে হয়।
বর্তমান বাংলাদেশ থেকে গ্রিক সাইপ্রাস যেতে আগ্রহীদের প্রায় ৬ লাখ টাকা থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে। পরিচিত ব্যক্তির মাধ্যমে যেতে পারলে ভিসা খরচ তুলনামূলক কম হয়।
সাইপ্রাস যেতে কত বয়স লাগে?
বাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাস যেতে বয়সের শর্ত রয়েছে। স্টুডেন্ট ও টুরিস্ট ভিসা প্রত্যাশীদের ক্ষেত্রে বয়সের শর্ত প্রযোজ্য হয় না। তবে ভিসা আবেদন করতে সাধারণত আবেদনকারীদের বয়স ১৮ বছর হতে হয়। সাইপ্রাস কাজে ভিসা নিয়ে যেতে আগ্রহীদের বয়সসীমা ১৮-৫৫ বছরের মধ্যে হতে হয়।
আরও পড়ুন:

যেকোনো ধরনের তথ্য জানতে টেলিগ্রামে যুক্ত হতে পারেন। ২৪ ঘণ্টা বিভিন্ন দেশের ভিসা সম্পর্কে আপডেট পাবেন। ফ্রি ভিসা তথ্য ও সার্ভিস পেতে এখনই লিংকে ক্লিক করে আমাদের অফিসিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেল যুক্ত হোন: বিডি ভিসা তথ্য
I want to go to Greek Cyprus for work what should I do?
বিশ্বস্ত এজেন্সির শরণাপন্ন হতে হবে।
Which is the trusted agency of Turkish Cyprus in Bangladesh?
আমরা শুধু ভিসা তথ্য দেয়। এজেন্সি নিজ দায়িত্বে ম্যানেজ করতে হবে।
How to apply visa ??