বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার উপায় 2025
বাংলাদেশ থেকে অনেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে চায়। পড়াশোনা, চাকরি ও ভ্রমণের উদ্দেশ্যে উন্নত এই দেশে যেতে আগ্রহীদের বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার উপায় সম্পর্কে ধারণা রাখতে হয়।
অস্ট্রেলিয়া পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট মহাদেশ ওশেনিয়াতে অবস্থিত। এই দেশে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি চাইলে খন্ডকালীন কাজ করতে পারে। এদেশে কাজের বেতন তুলনামূলক অনেক বেশি হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ থেকে যেকোনো উদ্দেশ্য এই দেশে যেতে চাইলে অবশ্যই বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার যোগ্যতা, ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া ও ভিসা খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য উদ্দেশ্য অনুযায়ী উপযুক্ত ভিসা প্রয়োজন হয়। পড়াশোনা, চাকরি ও ভ্রমণের উদ্দেশ্যে অনুযায়ী স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক ভিসা ও টুরিস্ট ভিসা রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে বোয়েসেলের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা নিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অফার লেটার প্রয়োজন হয়। এছাড়া ইংরেজি ভাষা দক্ষতা ও আর্থিক সক্ষমতা থাকতে হবে। কাজের ভিসা আবেদন করতে বৈধ কাজের অফার লেটার প্রয়োজন হয়। ভ্রমণ করতে আগ্রহীদের উচ্চ পেশা, ব্যাংক ব্যালেন্স ও বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের ট্রাভেল রেকর্ড থাকতে হবে।
নিজে নিজে ভিসা আবেদন করতে উদ্দেশ্য অনুযায়ী উপরে উল্লেখিত কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে। তবে এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করলে কোন কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হয় না। শুধু এজেন্সিকে ভিসা আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়।
অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার যোগ্যতা
অস্ট্রেলিয়া ভিসা আবেদন করার জন্য যোগ্যতা থাকা আবশ্যক। আবেদন করতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী কাগজপত্র ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন:
- পাসপোর্ট
- ভিসা আবেদন ফর্ম
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- স্বাস্থ্যবীমা
- দক্ষতার সার্টিফিকেট
- কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
- আর্থিক সচ্ছলতার প্রমাণ (ব্যাংক স্টেটমেন্ট, স্পনসরশিপ লেটার)
- রিটার্ন টিকিট
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির অফার লেটার
- ইংরেজি ভাষা দক্ষতার প্রমাণ (IELTS অথবা TOEFL স্কোর)
অস্ট্রেলিয়া ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া
নিজে নিজে অস্ট্রেলিয়া ভিসা আবেদন করতে ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হয়। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার যোগ্যতা নিশ্চিত করতে হয়।
ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে অনলাইনে অস্ট্রেলিয়া ভিসার আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে সরকারি ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইটে ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফি জমা দিতে হয়।
আবেদন করার পর অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে নির্দিষ্ট কোন তারিখে এম্বাসিতে গিয়ে ইন্টারভিউ দিতে হয়। কেউ চাইলে বিশ্বস্ত এজেন্সির মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে।
অস্ট্রেলিয়া ভিসা খরচ কত?
বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়া ভিসা খরচ ভিন্ন হয়ে থাকে। কারণ উদ্দেশ্যে অনুযায়ী ভিসা ক্যাটাগরি ভিন্ন হয়ে থাকে। আর ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিসা খরচ আলাদা হয়।
বর্তমান বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে প্রায় ১০ লাখ টাকা থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে। তবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার প্রকৃত খরচ এত বেশি নয়। বেসরকারি বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করলে খরচ বেশি হয়ে থাকে।
অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ও টুরিস্ট ভিসার খরচ এত বেশি হয় না। তবে আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ স্বরূপ ব্যাংক স্টেটমেন্ট না থাকলে এধরনের ভিসা পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে যায়।
অস্ট্রেলিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে?
অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য বয়সসীমা বিভিন্ন ভিসার ধরন অনুসারে ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত স্টুডেন্ট ভিসা এবং টেম্পোরারি স্কিলড ভিসার জন্য বয়সসীমা ১৮ বছর থেকে ৪৫ বছর।
অস্ট্রেলিয়া ওয়ার্কিং হলিডে ভিসা পেতে আবেদনকারীদের বয়স ১৮ বছর থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। আর টুরিস্ট ভিসা পেতে কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হয়। তবে ১৮ বছরের কম হলে অভিভাবকের অনুমতিপত্র লাগে।
FAQs
অস্ট্রেলিয়া যেতে ielts কত পয়েন্ট লাগে?
অস্ট্রেলিয়া যেতে আইইএলটিএস ৬.৫ পয়েন্ট লাগে।
অস্ট্রেলিয়া ভিসা পেতে কত দিন সময় লাগে?
অস্ট্রেলিয়া ভিসা পেতে সাধারণত ১৮ থেকে ৩০ দিন সময় লাগে।
বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া কত কিলোমিটার?
বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ার দূরত্ব প্রায় ৭ হাজার ১৭১ কিলোমিটার।
বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে কত সময় লাগে?
বাংলাদেশ থেকে বিমানে করে অস্ট্রেলিয়া যেতে প্রায় ১৭ ঘন্টা সময় লাগে।
বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া বিমান ভাড়া কত?
বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া বিমান ভাড়া প্রায় ১ লাখ টাকা।