গ্রিস যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫
গ্রিস দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের একটি প্রাচীন দেশ। বাংলাদেশ থেকে অনেকে কাজের ভিসা নিয়ে ইউরোপের এই দেশে যেতে চায়। গ্রিস যেতে আগ্রহীদের গ্রীসে যেতে কত টাকা লাগে ধারণা রাখতে হয়।
এটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সেনজেনভুক্ত শিল্পোন্নত একটি দেশ। এই দেশে কাজের সর্বনিম্ন বেতন অনেক বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসা নিয়ে ইউরোপের এই দেশে গেলে বিভিন্ন সেক্টরে কাজের সুযোগ পাবেন।
ভাগ্য পরিবর্তন ও উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপের এই দেশে যেতে আগ্রহীদের গ্রিস যেতে কত টাকা লাগে জানতে হবে। এছাড়া গ্রিস ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া, ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, বয়সসীমা ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে হবে।
গ্রিস যেতে কত টাকা লাগে?
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়া তুলনামূলক কঠিন হয়ে থাকে। তবে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে ইউরোপের যেকোনো দেশে সহজে যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।
বর্তমান বাংলাদেশ থেকে গ্রিস যেতে প্রায় ৮ লাখ টাকা থেকে ১২ লাখ টাকা লাগে। স্টুডেন্ট ভিসায় গ্রিসে যেতে প্রায় ৪ লাখ টাকা ৬ লাখ টাকা লাগে। গ্রিস টুরিস্ট ভিসা খরচ প্রায় ৪ লাখ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে গ্রিসে যেতে খরচ কম হয়। তবে বেসরকারি বিভিন্ন এজেন্সি কিংবা দালালের মাধ্যমে ইউরোপের এই দেশে যেতে খরচ বেশি হয়ে থাকে। গ্রিস ভিসা খরচ ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী আলাদা হয়ে থাকে।
গ্রিস ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া
বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা ও কাজের ভিসা নিয়ে ইউরোপের এই দেশে যেতে পারবেন। গ্রিস ভিসা আবেদন করার পূর্বে ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হয়।
প্রথমে গ্রিসের অফিসিয়াল ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইটে গিয়ে গ্রিস ভিসা আবেদন ফরম ডাউনলোড করে সঠিকভাবে পূরণ করতে হয়। ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ভিসা আবেদন ফি অনলাইনে জমা দিতে হয়।
অনলাইনে কিংবা অনলাইনে ভিসা আবেদন করার পর নির্দিষ্ট কোন তারিখে ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হয়। বাংলাদেশে অবস্থিত গ্রিস দূতাবাসে গিয়ে ভিসা আবেদন, বায়োমেট্রিক ইনফরমেশন ও সাক্ষাৎকার দিতে হয়।
গ্রিস যেতে কি কি লাগে?
গ্রিস যাওয়ার উদ্দেশ্য অনুযায়ী ভিসা ক্যাটাগরি আলাদা হয়ে থাকে। ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী গ্রিসে যাওয়ার কাগজপত্র আলাদা হয়ে থাকে।
-
- ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট (আইইএলটিএস, জিআরই, টোফেল স্কোর)
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- বৈধ পাসপোর্ট
- একাডেমিক সার্টিফিকেট
- একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট
- কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট
- ওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্স সার্টিফিকেট
- পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট
- মেডিকেল ফিটনেস সার্টিফিকেট
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অফার লেটার
- রিকমেন্ডেশন লেটার
- ভ্রমণের ইতিহাস
গ্রিস যেতে কত বছর বয়স লাগে?
বাংলাদেশ থেকে গ্রিসে যেতে বয়সের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। স্টুডেন্ট ও টুরিস্ট ভিসা প্রত্যাশীদের গ্রিসে যেতে ন্যূনতম ১৮ বছর বয়স হতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসা নিয়ে গ্রিসে যেতে ভিসা আবেদনকারীদের কমপক্ষে বয়স ২১ বছর হতে হবে।
FAQs
বাংলাদেশে গ্রিসের এম্বাসি কোথায়?
বাংলাদেশের গ্রিসের এম্বাসি ৫১/বি, বোরাক মেহনুর, ঢাকা ১২১২ এ অবস্থিত।
গ্রিস কি সেনজেন ভুক্ত দেশ?
হ্যাঁ, গ্রিস ইউরোপের সেনজেনভুক্ত দেশ।
বাংলাদেশ থেকে গ্রিস কিভাবে যাওয়া যায়?
সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান (যেমন: প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বোয়েসেল, বিএমইটি) কিংবা বেসরকারি বিভিন্ন এজেন্সির (যেমন: ভিএফএস গ্লোবাল) মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করে বাংলাদেশ থেকে গ্রিস যাওয়া যায়।
গ্রিস ১ ইউরো বাংলাদেশের কত টাকা?
গ্রিস ১ ইউরো সমান বাংলাদেশের প্রায় ১২৬ টাকা।
বাংলাদেশ থেকে গ্রিস যেতে কত সময় লাগে?
বিমানের ফ্লাইটে করে বাংলাদেশ থেকে গ্রিস যেতে প্রায় ২৪ ঘন্টা সময় লাগে।
আরও পড়ুন:

যেকোনো ধরনের তথ্য জানতে টেলিগ্রামে যুক্ত হতে পারেন। ২৪ ঘণ্টা বিভিন্ন দেশের ভিসা সম্পর্কে আপডেট পাবেন। ফ্রি ভিসা তথ্য ও সার্ভিস পেতে এখনই লিংকে ক্লিক করে আমাদের অফিসিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেল যুক্ত হোন: বিডি ভিসা তথ্য