মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫
যারা কাজের উদ্দেশ্যে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে মালয়েশিয়া যেতে চাচ্ছেন তাদের অবশ্যই মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে জানা উচিত। তাহলে আপনি আনুমানিক একটি ধারণা করতে পারবেন। এতে করে দালাল এবং বিভিন্ন এজেন্সির লোকদের দ্বারা আপনার প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
মালয়েশিয়া উন্নত দেশের তালিকায় নিজের নাম লিখিয়েছে। এই দেশে গিয়ে শ্রমিকেরা ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারে। এই দেশে বর্তমানে শ্রমিকের চাহিদা ব্যাপক। তাই প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ একটু ভালো থাকার আশায় মালয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে এই দেশে পাড়ি জমাচ্ছে। তবে এই দেশে যাওয়ার পূর্বে আপনার ধারণা থাকা উচিত যে মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে।
সরকারিভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার উপায়
মালয়েশিয়া সরকারের মাধ্যমে যেতে হলে প্রথমে “আমি প্রবাসী” অ্যাপ ডাউনলোড করে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এতে বিভিন্ন কোম্পানির চাকরির জন্য আবেদন করা যাবে। চাকরি পাওয়ার পর, বিএমইআইটি (BMET) রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে যা ছাড়া মালয়েশিয়া ভিসার জন্য আবেদন করা সম্ভব নয়।
মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী কাগজপত্র ভিন্ন হয়। স্টুডেন্ট বা টুরিস্ট ভিসার জন্য নির্দিষ্ট ডকুমেন্টস লাগলেও, কাজের উদ্দেশ্যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে গেলে কম ডকুমেন্টেশন প্রয়োজন। বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে বোয়েসেলের মাধ্যমে মালয়েশিয়া যেতে পারবেন।
মালয়েশিয়া যেতে কি কি কাগজ লাগে?
- মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
- BMET Registration Card
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- জাতীয় পরিচয়পত্র
- করোনা ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেট
- কোম্পানির অফার লেটার
- কোম্পানির কাজের চুক্তিপত্র
- স্কিল সার্টিফিকেট
- কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ (যদি লাগে)
- ন্যূনতম ২ বছরের মেয়াদি পাসপোর্ট
- সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- অন্যান্য কাগজপত্র
মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে?
মালয়েশিয়া যাওয়ার খরচ নির্ভর করে ভিসার ধরন, মেয়াদ, এবং যাত্রার মাধ্যমের ওপর। সরকারিভাবে মালয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে আনুমানিক ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা খরচ হয়। যদিও সরকার ঘোষিত মূল খরচ ৭৮,৯৯০ টাকা।
তবে বাস্তবে অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচসহ এটি বাড়ে। অনেকে দালালের মাধ্যমে কম খরচে প্রায় ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা যেতে চায়, কিন্তু এতে জীবনের ঝুঁকি থাকে, বৈধ কাগজপত্র না থাকায় গ্রেপ্তার ও ডিপোর্টেশনের আশঙ্কা থাকে।
তাই অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে বৈধ উপায়ে গেলে খরচ তুলনামূলক বেশি প্রায় হয় যা প্রায় ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকা। তবে এতে কাজের নিশ্চয়তা ও আইনি সুরক্ষা মেলে। কম খরচের লোভে অবৈধ পথে না গিয়ে, বিশ্বস্ত এজেন্সি কিংবা সরকারি মাধ্যমে সঠিক প্রক্রিয়ায় যাওয়াই নিরাপদ ও ভবিষ্যতের জন্য ভালো সিদ্ধান্ত।
মালয়েশিয়া ভিসার দাম কত?
মালয়েশিয়া যেতে চাইলে ভিসার ধরন ও মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে সেটা সম্পর্কে জানা জরুরি। মালয়েশিয়া সরকার স্টুডেন্ট ভিসা, ভিজিট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, ফ্যাক্টরি ভিসা, কৃষি ভিসা, কলিং ভিসা, মেডিকেল ভিসা ও বিজনেস ভিসা প্রদান করে থাকে। এর মধ্যে মালয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সবচেয়ে জনপ্রিয়।
সরকারিভাবে মালয়েশিয়া যেতে ৮০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। তবে বাস্তবে ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকা লাগে। অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে গেলে বৈধতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। সঠিক উপায়ে যেতে হলে অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করা নিরাপদ। এতে ভিসা বৈধ থাকে, কাজের নিশ্চয়তা মেলে এবং ভবিষ্যত নিরাপদ হয়।
ক্রমিক নম্বর | ভিসা ক্যাটাগরি | মোট ভিসা খরচ (টাকা) |
---|---|---|
১ | স্টুডেন্ট ভিসা | ২-৩ লাখ |
২ | টুরিস্ট ভিসা | ১-২ লাখ |
৩ | ওয়ার্ক পারমিট (কাজের) ভিসা | ২.৫- ৫ লাখ |
৪ | বিজনেস ভিসা | ১-২ লাখ |
৫ | মেডিকেল ভিসা | ৫০ হাজার-১ লাখ |
মালয়েশিয়া কোন ভিসা ভালো?
মালয়েশিয়ায় কাজের জন্য কোম্পানি ভিসা, এজেন্ট ভিসা ও ফ্রি ভিসা নেওয়া যায়। এর মধ্যে মালয়েশিয়া কোম্পানি ভিসা সবচেয়ে নিরাপদ ও সুবিধাজনক। কারণ এতে ভিসা প্রসেসিং, থাকা-খাওয়া ও ফ্লাইট টিকেটের খরচ সাধারণত কোম্পানি বহন করে থাকে। তবে কিছু ক্ষেত্রে কোম্পানি প্রতারণা করতে পারে। তাই যাচাই করা জরুরি।
মালয়েশিয়া কলিং ভিসাও জনপ্রিয়, যা নির্দিষ্ট কোম্পানির মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ দেয়। যেতে চাইলে অবশ্যই মালয়েশিয়া কোম্পানির নাম, বেতন ও ভিসার খরচ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া উচিত। সঠিক তথ্যের অভাবে অনেকেই ভোগান্তিতে পড়েন, তাই বিশ্বস্ত উৎস থেকে যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উত্তম।
মালয়েশিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে?
মালয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে হলে বয়স ২১ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে হতে হবে। ২১ বছরের কম বয়সী কেউ কাজের অনুমতি পায় না, আর ৪৫ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য চাকরির সুযোগ কম থাকে। ফলে তাদের ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা কম।
বয়সের শর্ত ছাড়াও স্বাস্থ্য পরীক্ষা, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ও স্পন্সর কোম্পানির অনুমোদন প্রয়োজন। কিছু এজেন্সি নিয়ম উপেক্ষা করতে চাইলেও এটি ভবিষ্যতে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে কত সময় লাগে?
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া প্রায় ৩,৭৪৮ কিলোমিটার দূরে। বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া বিমানে করে যেতে ননস্টপ ফ্লাইটে ৪ ঘণ্টা, আর ওয়ান স্টপ ফ্লাইটে ১০-১৫ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।
আরও পড়ুন:

যেকোনো ধরনের তথ্য জানতে টেলিগ্রামে যুক্ত হতে পারেন। ২৪ ঘণ্টা বিভিন্ন দেশের ভিসা সম্পর্কে আপডেট পাবেন। ফ্রি ভিসা তথ্য ও সার্ভিস পেতে এখনই লিংকে ক্লিক করে আমাদের অফিসিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেল যুক্ত হোন: বিডি ভিসা তথ্য
Vai Malaysia kobe theke sob sector khulbe
এটা শিওর দিয়ে বলা যাবে না। সরকারিভাবে নিয়োগ শুরু হলে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে আপডেট পাবেন।