কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত ২০২৫
কোম্পানি ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যেতে আগ্রহীদের কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত ধারণা রাখতে হয়। কুয়েত সরকার প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে।
বাংলাদেশ থেকে কুয়েত কোম্পানি ভিসা নিয়ে গেলে বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে। যেমন: কনস্ট্রাকশন, ড্রাইভিং, ইলেকট্রনিক, হোটেল ও রেস্টুরেন্ট, ফ্যাক্টরি শ্রমিক ইত্যাদি।
ভুয়া এজেন্সি কিংবা দালাল দ্বারা প্রতারিত হতে না চাইলে কুয়েত কোম্পানি ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু জানতে হবে। এছাড়া কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত সঠিক তথ্য জানতে হবে।
কুয়েত কোম্পানি ভিসা পাওয়ার সহজ উপায়
বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে কোম্পানি ভিসা নিয়ে সরকারিভাবে কিংবা বেসরকারিভাবে যেতে পারবেন। সরকারিভাবে বোয়েসেলের মাধ্যমে কোম্পানি ভিসা নিয়ে যাওয়া যায়।
বেসরকারিভাবে বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কোম্পানি ভিসা প্রসেসিং করে যেতে পারবেন। ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে এজেন্সির শরণাপন্ন হতে পারেন।
তবে নিজে নিজে কোম্পানি ভিসা প্রসেসিং করার জন্য কুয়েতের কোম্পানি থেকে কাজের অফার লেটার পেতে হয়। তারপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে কুয়েত এম্বাসিতে গিয়ে ভিসা প্রসেসিং করতে হয়।
কুয়েত কোম্পানি ভিসা পেতে কি কি লাগে?
কুয়েত কোম্পানি ভিসা পাওয়ার জন্য আগ্রহীদের ভিসা আবেদন করতে হবে। কোম্পানি ভিসা আবেদন করতে প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র লাগে।
- বৈধ পাসপোর্ট
- সিভি
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- ভিসা আবেদন ফর্ম
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট
- কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট
- কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট
কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত?
কুয়েত কোম্পানি ভিসা নিয়ে গেলে বিভিন্ন ধরনের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। কুয়েত কোম্পানি ভিসার বেতন কাজের ক্যাটাগরি, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ব্যক্তিভেদে আলাদা হয়ে থাকে।
বর্তমান কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন প্রায় ৩৫ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা হয়ে থাকে। এই দেশে সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো রয়েছে। কুয়েতে ডেলিভারি ম্যান, এসি টেকনিশিয়ান, ইলেকট্রিশিয়ান ও ড্রাইভিং ইত্যাদি কাজের বেতন বেশি হয়ে থাকে।
কুয়েত কোম্পানি ভিসা কত টাকা?
কুয়েত কোম্পানি ভিসার চাহিদা বেশি হওয়ার কারণে ভিসা খরচ তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে কুয়েতে যেতে খরচ তুলনামূলক কম হয়। তবে বেসরকারিভাবে কোম্পানি ভিসা নিয়ে যেতে খরচ বেশি হয়ে থাকে।
বর্তমান কুয়েত কোম্পানি ভিসা খরচ প্রায় ৫ লাখ টাকা থেকে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। কোম্পানি ভিসা নিয়ে গেলে থাকা ও খাওয়ার সুবিধা ফ্রি পাওয়া যায়। ফলে বেতন কম হলেও বাড়িতে টাকা পাঠাতে পারবেন।