জাপান যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫
বাংলাদেশ থেকে জাপান যেতে আগ্রহীদের জাপান যেতে কত টাকা লাগে ধারণা রাখতে হয়। জাপান উন্নত প্রযুক্তি, উন্নত জীবনযাত্রা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগের জন্য পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য।
বাংলাদেশ থেকে অনেকে শ্রমিক ও শিক্ষার্থী হিসেবে জাপান যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকে। জাপান যাওয়ার প্রক্রিয়াটি কিছুটা ব্যয়বহুল এবং এতে বিভিন্ন খরচ অন্তর্ভুক্ত হয়। শিক্ষার্থীরা জাপানে পড়াশোনার পাশাপাশি খন্ডকালীন কাজ করতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে পড়াশোনা কিংবা কাজের উদ্দেশ্যে উন্নত প্রযুক্তির দেশ জাপানে যেতে আগ্রহীদের জাপান যেতে কত টাকা লাগে জানতে হবে। এছাড়া জাপান যাওয়ার সহজ উপায়, এজেন্সি, বয়সসীমা ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে হবে।
জাপান যাওয়ার সহজ উপায়
জাপানে যাওয়া বর্তমান সময়ে অনেক বাংলাদেশি শ্রমিক, শিক্ষার্থী এবং পর্যটকের কাছে স্বপ্ন। জাপানে যাওয়ার প্রক্রিয়া কিছুটা জটিল মনে হতে পারে। তবে সঠিক তথ্য এবং প্রস্তুতির মাধ্যমে এটি সহজ করা সম্ভব।
বাংলাদেশ থেকে জাপান যাওয়ার সহজ উপায় হলো জাপান স্টুডেন্ট ভিসা। জাপান সরকার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চশিক্ষা এবং স্কলারশিপ প্রোগ্রাম অফার করে থাকে। জাপানের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে ভিসা আবেদন করতে হয়।
জাপান বর্তমানে দক্ষ শ্রমিক ও সাধারণ কর্মীদের জন্য কাজের ভিসার সুযোগ দিচ্ছে। এজন্য প্রথমে একটি জাপানি কোম্পানি বা রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে চাকরির অফার নিশ্চিত করতে হবে। কাজের চুক্তি অনুযায়ী কোম্পানি ভিসা প্রসেসিং করতে সহায়তা করবে।
জাপান যাওয়ার জন্য আগ্রহীদের জাপানিজ ভাষায় দক্ষতা থাকতে হবে। ভাষা দক্ষতা না থাকলে স্টুডেন্ট ভিসা কিংবা ওয়ার্ক ভিসা নিয়ে জাপানে যেতে পারবেন না। জাপানে যাওয়ার যোগ্যতা থাকলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে নিজে নিজে ভিসা প্রসেসিং করতে পারবেন।
জাপান যেতে কত টাকা লাগে?
জাপানে যাওয়ার খরচ অনেকাংশে নির্ভর করে ভ্রমণের উদ্দেশ্য, ভিসার ধরন, এবং এজেন্সির ওপর। ভিসা খরচ শিক্ষার্থী, পর্যটক ও কর্মসংস্থানের জন্য ভিন্ন হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে জাপানে যেতে আগ্রহীদের জাপানে যেতে কত টাকা লাগে জানতে হবে।
বর্তমান বাংলাদেশ থেকে জাপানে যেতে প্রায় ১০ লাখ টাকা থেকে ১৫ লাখ টাকা লাগে। সরকারিভাবে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে খরচ কম লাগে। তবে বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করে গেলে খরচ বেশি লাগে।
বর্তমান জাপান স্টুডেন্ট ভিসা খরচ প্রায় ৫ লাখ টাকা থেকে ৮ লাখ টাকা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে টুরিস্ট ভিসা নিয়ে জাপানে যাওয়া তুলনামূলক কঠিন এবং ভিসা খরচ অনেক বেশি হয়ে থাকে।
জাপান যাওয়ার এজেন্সি
জাপানে যাওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করতে অনেক রিক্রুটিং এজেন্সি কাজ করে থাকে। এজেন্সিগুলো ডকুমেন্ট প্রসেসিং, কাজের ব্যবস্থা, ভাষার প্রশিক্ষণ, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সেবা দিয়ে থাকে।
তবে সঠিক এজেন্সি নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভুয়া বা প্রতারণামূলক এজেন্সির মাধ্যমে ভোগান্তির শিকার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। বাংলাদেশ থেকে জাপানে যাওয়ার সরকারি এজেন্সিগুলো হলো বিএমইটি, বোয়েসেল, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ইত্যাদি।
জাপান যেতে কত বছর বয়স লাগে?
বাংলাদেশ থেকে জাপান যাওয়ার বয়সসীমা ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিন্ন হয়ে থাকে। জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে আবেদনকারীদের বয়সসীমা ১৮ বছর থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হয়।
বিজনেস ভিসা নিয়ে জাপানে যেতে কমপক্ষে ২১ বছর বয়স হতে হয়। স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনকারীদের স্নাতক প্রোগ্রামের জন্য কমপক্ষে ১৮ বছর এবং স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের জন্য কমপক্ষে ২১ বছর বয়স লাগে।

যেকোনো ধরনের তথ্য জানতে টেলিগ্রামে যুক্ত হতে পারেন। ২৪ ঘণ্টা বিভিন্ন দেশের ভিসা সম্পর্কে আপডেট পাবেন। ফ্রি ভিসা তথ্য ও সার্ভিস পেতে এখনই লিংকে ক্লিক করে আমাদের অফিসিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেল যুক্ত হোন: বিডি ভিসা তথ্য