হাঙ্গেরি কাজের ভিসা 2025 (প্রসেসিং, বেতন, খরচ)
বাংলাদেশ থেকে অনেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চায়। আগ্রহীদের জন্য হাঙ্গেরি কাজের ভিসা সেরা হতে পারে। কারণ এই দেশের ভিসা পাওয়া ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় সহজ।
বাংলাদেশ থেকে পড়াশোনা ও কাজের জন্য ইউরোপের এই দেশটি সেরা একটি গন্তব্য হতে পারে। মধ্যম আয়ের এই দেশটিতে প্রবাসীরা প্রতি মাসে লাখ টাকার বেশি উপার্জন করতে পারে। শিক্ষার্থীরা চাইলে পড়াশোনা পাশাপাশি পার্টটাইম জব করতে পারে।
হাঙ্গেরি কাজের ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু জানতে এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। তাহলে হাঙ্গেরি কাজের বেতন, সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো, ভিসা পাওয়ার উপায়, কোন কাজের চাহিদা ও বেতন বেশি জানতে পারবেন।
হাঙ্গেরি কাজের ভিসা প্রসেসিং
বাংলাদেশের নাগরিকরা সহজে হাঙ্গেরি কাজের ভিসা প্রসেসিং করতে পারে। কারণ বাংলাদেশে হাঙ্গেরি এম্বাসি রয়েছে। নিজে নিজে অথবা এজেন্সির মাধ্যমে হাঙ্গরি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং করা যায়।
নিজে নিজে ভিসা প্রসেসিং করতে কাজের অফার লেটার সংগ্রহ করতে হবে। এজন্য আন্তর্জাতিক বিভিন্ন জব পোর্টাল ওয়েবসাইটে হাঙ্গেরি কাজের আবেদন করে জবের অফার লেটার পেতে হয়।
বিভিন্ন ধরনের যাচাই বাছাই করে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের জব অফার লেটার দেওয়া হয়। তবে এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করলে জব অফার লেটার সংগ্রহ করতে হয় না। ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা নিয়ে এজেন্সি নিজ দায়িত্বে ভিসা প্রসেসিং করে দেয়।
হাঙ্গেরি কাজের ভিসা আবেদন করার পর দূতাবাসে ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে সাক্ষাৎকার দিতে হয়। এজন্য অবশ্যই আবেদনকারীদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। এভাবে হাঙ্গেরি কাজের ভিসা প্রসেসিং করতে হয়।
হাঙ্গেরি কাজের ভিসা পেতে কি কি লাগে?
হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং করতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাগজপত্র লাগে। হাঙ্গেরি কাজের ভিসা পেতে নিম্নে উল্লেখিত কাগজপত্র প্রস্তুত করতে হয়:
- বৈধ পাসপোর্ট
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- ইংরেজি ভাষা দক্ষতা (যদি লাগে)
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট
- কাজের অফার লেটার
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ
হাঙ্গেরি কাজের বেতন কত?
হাঙ্গেরি ইউরোপের মধ্যম আয়ের একটি দেশ। এই দেশে কাজের বেতন বেশি হয়ে থাকে। হাঙ্গেরি প্রবাসীদের কাজের বেতন বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন: ভাষা দক্ষতা, কাজের দক্ষতা, কাজের ধরন, অভিজ্ঞতা, কোম্পানির ধরন, ওভারটাইম ইত্যাদি।
বর্তমান হাঙ্গেরি কাজের বেতন প্রায় ৭০০ ইউরো থেকে ১,২০০ ইউরো পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে এই দেশে সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো প্রচলিত রয়েছে। প্রবাসীদের কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে বেতন বেশি হয়ে থাকে।
হাঙ্গেরি যেতে কত বছর বয়স লাগে?
বাংলাদেশ থেকে হাঙ্গেরি কাজের ভিসা নিয়ে যেতে বয়সের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। বর্তমান বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে হাঙ্গেরি যেতে আবেদনকারীদের কমপক্ষে ২০ বছর বয়স হতে হবে। তবে স্টুডেন্ট ও টুরিস্ট ভিসা আবেদন করতে বয়সের কোন শর্ত নেই।