দুবাই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫ (প্রসেসিং, বেতন, খরচ)
অনেকে দুবাই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে চায়। দুবাই আসলে কোন দেশ নয়। এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ঝলমলে বিখ্যাত একটি শহর। দুবাই কাজের ভিসা নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলে এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। তাহলে দুবাই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কিত সবকিছু বিস্তারিত জানতে পারবেন।
দুবাইয়ের অর্থনীতি মূলত তেল ও পর্যটন নির্ভর। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অসংখ্য বাঙালি প্রবাসী বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করছে। কাজের বেতন তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে আগ্রহীদের দুবাই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।
দুবাই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে কাজের উদ্দেশ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত যেতে দুবাই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রয়োজন হয়। অনেকে বাংলাদেশ থেকে ভিজিট ভিসা নিয়ে গিয়ে এই শহরে অবৈধভাবে কাজ করে থাকে। দুবাই কাজের ভিসার মেয়াদ সাধারণত দুই থেকে তিন বছর হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে কিংবা বেসরকারিভাবে কাজের ভিসা নিয়ে এই দেশে যাওয়া যায়। বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে কাজের ভিসা নিয়ে দুবাই যেতে চাইলে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন: বোয়েসেল, বিএমইটি, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়, আমি প্রবাসী অ্যাপ ইত্যাদির মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করতে হবে।
এজন্য তাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত আপডেট থাকতে হবে। বেসরকারিভাবে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে দুবাই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং করতে পারবেন। ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে নিজে নিজে অথবা বেসরকারিভাবে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করতে পারবেন।
দুবাই যেতে কি কি কাগজ লাগে?
বাংলাদেশ থেকে দুবাই কাজের উদ্দেশ্যে যেতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রয়োজন। দুবাই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে নিম্নে উল্লেখিত কাগজপত্র প্রস্তুত করতে হয়:
- বৈধ পাসপোর্ট
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট (যদি লাগে)
- কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট
- কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট
- স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- জব অফার লেটার
- ওয়ার্ক পারমিট
দুবাই কাজের বেতন কত?
দুবাই কাজের বেতন কাজের ধরন, দক্ষতা ও যোগ্যতা অনুযায়ী ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। দুবাই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ পাবেন। এই দেশে যেতে আগ্রহীদের অবশ্যই দুবাই কাজের বেতন কত জানতে হবে।
বর্তমান দুবাই প্রবাসীদের কাজের বেতন প্রায় ৩০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। নতুন অবস্থায় প্রবাসীদের কাজের বেতন কম হয়ে থাকে। তবে কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বাড়লে বেতন বৃদ্ধি পায়।
দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি?
দুবাই পৃথিবীর অন্যতম একটি উন্নত শহর। এই শহরে বিদেশি কর্মীদের বিভিন্ন সেক্টরে চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে দুবাই কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চাইলে অবশ্যই দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি জেনে নিবেন।
বর্তমান দুবাইয়ে কনস্ট্রাকশন শ্রমিক, ড্রাইভিং, মেকানিক, প্লাম্বার, ইলেকট্রিশিয়ান, ক্লিনার, হোটেল ও রেস্টুরেন্ট কর্মী, পেইন্টার, ফ্যাক্টরি শ্রমিক ইত্যাদি কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে।
দুবাই কোন কাজের বেতন বেশি?
প্রবাসীদের কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকলে দুবাই কাজের বেতন বেশি হয়। বর্তমান দুবাইয়ে মেকানিক, টেকনিশিয়ান, রাজমিস্ত্রি, রংমিস্ত্রি, ড্রাইভার, প্লাম্বার, ইলেকট্রিশিয়ান ইত্যাদি কাজের বেতন বেশি হয়ে থাকে।
দুবাই যেতে কত টাকা লাগে?
বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে দুবাই তিনভাবে যাওয়া যায়। যথা: সরকারিভাবে, বেসরকারিভাবে ও দালালের মাধ্যমে। সরকারিভাবে দুবাই কাজের ভিসা নিয়ে যেতে খরচ অনেক কম হয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসা নিয়ে এই দেশে যেতে চাইলে অবশ্যই দুবাই যেতে কত টাকা লাগে জানতে হবে।
বর্তমান বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসা নিয়ে দুবাই যেতে প্রায় ৪ লাখ টাকা থেকে ৮ লাখ টাকা খরচ হয়। বেসরকারিভাবে বিভিন্ন এজেন্সি কিংবা দালালের মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করলে খরচ বেশি লাগে। বেসরকারিভাবে ভিসা প্রসেসিং করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হয়। কারণ অনেক ভুয়া এজেন্সি ও দালাল প্রতারণা করে থাকে।
দুবাই ভিজিট ভিসা খরচ কত ২০২৫
বাংলাদেশ থেকে অনেকে ভিজিট ভিসা নিয়ে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে এই দেশে যায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যটকদের কাছে দুবাই শহর অন্যতম একটি সেরা গন্তব্য। দুবাই শহরে যেতে আগ্রহীদের অবশ্যই দুবাই ভিজিট ভিসা খরচ কত জানতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে দুবাই ভিজিট ভিসা নিয়ে যেতে খরচ প্রায় ৬০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। দুবাই টুরিস্ট ভিসা মেয়াদ সাধারণত ৬০ দিন হয়ে থাকে। বিভিন্ন ধরনের ভিজিট ভিসা রয়েছে।