অস্ট্রিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৫
অস্ট্রিয়া পশ্চিম ইউরোপের অন্যতম একটি ধনী রাষ্ট্র। এই দেশের নাগরিকদের মাথাপিছু আয় অনেক বেশি হয়ে থাকে। উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য অনেকে বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রিয়া স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে চায়।
অস্ট্রিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত মানের এবং এদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিকভাবে সর্বদা শীর্ষ অবস্থান করে থাকে। এদেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিনা বেতন কিংবা স্বল্প বেতনে পড়ার সুযোগ দিয়ে থাকে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত অন্যান্য দেশের মতো এই দেশেও শিক্ষার্থীরা চাইলে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ২০ ঘণ্টা খন্ডকালীন কাজ করতে পারে। পড়াশোনার উদ্দেশ্যে এই দেশে যেতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের অস্ট্রিয়া স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং যোগ্যতা ও খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু জানতে হবে।
অস্ট্রিয়া স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং
বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রিয়াতে দীর্ঘমেয়াদি পড়াশোনার জন্য ডি-টাইপ ভিসা আবেদন করতে হয়। এই ভিসায় সেনজেন দেশগুলোতে ছয় মাস ভ্রমণের সুবিধা পাওয়া যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরুর তিন থেকে ছয় মাস আগে অস্ট্রিয়া স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করতে হয়। ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে প্রথম পর্যায়ে আবেদনের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে ভারতের নয়া দিল্লির অস্ট্রিয়া দূতাবাসে।
ভিসা আবেদনের যাবতীয় কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে ইমেইলের মাধ্যমে আগে থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে পুনরায় দূতাবাসে গিয়ে বায়োমেট্রিক ইনফরমেশন দিতে হয়। আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য কিছুদিন অপেক্ষা করতে হয়।
অনেক শিক্ষার্থী অনাকাঙ্ক্ষিত ঝামেলা এড়াতে বিশ্বস্ত এজেন্সির মাধ্যমে অস্ট্রিয়া স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং করে থাকে। তবে কেউ চাইলে নিজে নিজে স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং করতে পারে। এক্ষেত্রে অস্ট্রিয়া স্টুডেন্ট ভিসার খরচ কম হবে।
অস্ট্রিয়া স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা
অস্ট্রিয়া স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনকারীদের ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা থাকতে হবে। স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করতে কিছু যোগ্যতা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকা লাগে। অস্ট্রিয়া স্টুডেন্ট ভিসার যোগ্যতা:
- বৈধ পাসপোর্ট
- এডমিশন লেটার
- একাডেমিক সার্টিফিকেট
- একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট
- ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট (জার্মানি কিংবা ইংরেজি)
- ফাইন্যান্সিয়াল সলভেন্সি ডকুমেন্ট
- স্টাডি পরিকল্পনা
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- ভিসা আবেদন ফি
- স্বাস্থ্য বীমা
- মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
অস্ট্রিয়া স্টুডেন্ট ভিসা খরচ
বর্তমান অস্ট্রিয়া স্টুডেন্ট ভিসা খরচ প্রায় ৫ লাখ টাকা ১২ লাখ টাকা হয়ে থাকে। স্কলারশিপ নিয়ে উন্নত এই দেশে যেতে পারলে ভিসা খরচ কম হয়। তবে বিভিন্ন এজেন্সির সহযোগিতায় অস্ট্রিয়া স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং করলে খরচ বেশি হয়।
অস্ট্রিয়া স্টুডেন্ট ভিসা খরচের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের খরচ রয়েছে। যেমন: ভিসা আবেদন ফি, ভিসা প্রসেসিং, এয়ার টিকেট বুকিং, কাগজপত্র ভেরিফিকেশন ফি, স্বাস্থ্য বীমা ইত্যাদি। নিজে নিজে অস্ট্রিয়া স্টুডেন্ট ভিসা করলে অল্প খরচে ইউরোপের এই দেশে যেতে পারবেন।
FAQs
অস্ট্রিয়া স্টুডেন্ট ভিসা সাকসেস রেট কত?
অস্ট্রিয়া স্টুডেন্ট ভিসা সাকসেস রেট ৯৮%।
অস্ট্রিয়া পড়াশোনা করতে শিক্ষার্থীদের কত টাকা ব্যাংক ব্যালেন্স দেখাতে হয়?
অস্ট্রিয়া পড়াশোনা করতে শিক্ষার্থীদের কমপক্ষে ৬ হাজার ৬৩০ ইউরো ব্যাংক ব্যালেন্স দেখাতে হবে।
শিক্ষার্থীদের অস্ট্রিয়া যাওয়ার ভিসা আবেদন করতে কত ফি লাগে?
১৫০ ইউরো ভিসা আবেদন ফি দিয়ে অস্ট্রিয়া ভিসা আবেদন করতে হয়।

যেকোনো ধরনের তথ্য জানতে টেলিগ্রামে যুক্ত হতে পারেন। ২৪ ঘণ্টা বিভিন্ন দেশের ভিসা সম্পর্কে আপডেট পাবেন। ফ্রি ভিসা তথ্য ও সার্ভিস পেতে এখনই লিংকে ক্লিক করে আমাদের অফিসিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেল যুক্ত হোন: বিডি ভিসা তথ্য