আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৫ (যোগ্যতা, প্রসেসিং, খরচ)
দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা অর্জনে শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে সুপার পাওয়ারের অধিকারী দেশ আমেরিকা। আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা থাকলে শিক্ষার্থীরা সহজে পেয়ে যাবে আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা।
উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য আমেরিকা গেলে বিশ্বের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। এই দেশে সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো থাকার কারণে বেশি বেতনে পড়াশোনার পাশাপাশি খন্ডকালীন কাজ করার সুযোগ পাবেন।
আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা অর্জনের স্বপ্ন পূরণ করতে চাইলে আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু জানতে হবে। এছাড়া আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা ও খরচ সম্পর্কে জানতে হবে।
আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার উপায়
আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা থাকলে স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং করতে পারবেন। আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা পেতে শিক্ষার্থীদের ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং করতে হবে।
ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে নিজে নিজে ভিসা প্রসেসিং করতে পারবেন। কেউ চাইলে বিশ্বস্ত এজেন্সির কাছ থেকে ভিসা কনসালটেন্সি সার্ভিস নিতে পারে। এক্ষেত্রে এজেন্সিকে ফি দিতে হয়।
স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য আমেরিকার কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অফার লেটার পেতে হয়। শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষা দক্ষতা প্রয়োজন হয়। আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী প্রমাণ করতে ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির অফার লেটার পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীর যোগ্যতা অনুযায়ী আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ইমেইল পাঠাতে হয়। ট্রাস্টেড এজেন্সিকে দিয়ে আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং করলে যাবতীয় কাজকর্ম নিজ দায়িত্বে করে দিয়ে থাকে।
বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে কিংবা অফলাইনে সরাসরি মার্কিন দূতাবাসে গিয়ে আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার পর অবশ্যই শিক্ষার্থীদের ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য এম্বাসি ফেস করতে হবে।
আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা ২০২৫
উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য আমেরিকা যেতে চাইলে আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা:
- বৈধ পাসপোর্ট
- আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির লেটার
- একাডেমিক সার্টিফিকেট
- একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট
- ইংরেজি ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট
- ফাইন্যান্সিয়াল সলভেন্সি ডকুমেন্ট
- স্টাডি পরিকল্পনা
- মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ কত?
শক্তিশালী অর্থনীতি ও সামরিক সক্ষমতার কারণে আমেরিকা বিশ্বে পরাশক্তি হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করেছে। অনেকে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে এই দেশে যেতে চায়। এজন্য শিক্ষার্থীদের আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
বর্তমান স্টুডেন্ট ভিসায় বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে প্রায় ৫ লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা লাগে। আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন: স্কলারশিপ, টিউশন ফি, বিমান টিকেট বুকিং, এজেন্সি ফি ইত্যাদি।
অফিসিয়াল খরচে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে আমেরিকায় যেতে চাইলে নিজে নিজে স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং করতে হবে। তবে বিশ্বস্ত এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করতে আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসার খরচ বেশি হয়ে থাকে।
FAQs
আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন ফি কত?
আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন ফি মাত্র ৫১০ ডলার।
আমেরিকা যেতে ielts কত পয়েন্ট লাগে?
আমেরিকা যেতে ন্যূনতম ৬.০ আইইএলটিএস স্কোর লাগে।
আমেরিকা পড়তে যেতে কত টাকা ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হয়?
আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য ন্যূনতম ১০ হাজার ডলার ব্যাংক ব্যালেন্স লাগে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি কত ঘন্টা কাজ করতে পারে?
বিদেশি শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ২০ ঘন্টা কাজ করতে পারে।