কানাডা যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫
বাংলাদেশ থেকে অনেকে চাকরি, পড়াশোনা ও ভ্রমণের উদ্দেশ্যে কানাডা যেতে চায়। বাংলাদেশ থেকে কানাডা যেতে কত টাকা লাগে সেটা ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিন্ন হয়ে থাকে। কানাডা অর্থনৈতিকভাবে ও প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত একটি দেশ।
উত্তর আমেরিকার এই দেশে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ পাড়ি জমাচ্ছে। এই দেশে কাজের সর্বনিম্ন বেতন অনেক বেশি হয়ে থাকে। এই দেশের ভিসা পাওয়ার জন্য কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা থাকতে হবে।
উন্নত জীবন উপভোগ ও অধিক ইনকামের জন্য এই দেশে যেতে আগ্রহীদের কানাডা যেতে কত টাকা লাগে জানতে হবে। এছাড়া কানাডা যাওয়ার সহজ উপায়, যেতে কি কি লাগে ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে হবে।
কানাডা যাওয়ার সহজ উপায়
উন্নত জীবনযাপন, চাকরি কিংবা পড়াশোনার জন্য কানাডা বিশ্বের অন্যতম একটি জনপ্রিয় গন্তব্য। এজন্য এটি অভিবাসীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষ রয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের ভিসা নিয়ে কানাডা সহজে যাওয়া যায়। যেমন: কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, বিজনেস ভিসা, এক্সপ্রেস এন্ট্রি প্রোগ্রাম, ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ইত্যাদি।
- এক্সপ্রেস এন্ট্রি প্রোগ্রাম: কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য নতুন অভিবাসীদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো এক্সপ্রেস এন্ট্রি প্রোগ্রাম। প্রতিবছর হাজার হাজার অভিবাসী এক্সপ্রেস এন্ট্রির মাধ্যমে স্থায়ীভাবে বসবাস ও কাজের সুযোগ পাচ্ছে।
- কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা: বাংলাদেশ থেকে কানাডা যাওয়ার সহজ প্রক্রিয়া হলো স্টুডেন্ট ভিসা। এজন্য কানাডার কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে হবে।
- কানাডা ভিজিট ভিসা: কানাডা ভ্রমণ ভিসা পাওয়া তুলনামূলক কঠিন। দূতাবাসে সাক্ষাৎকার দিয়ে প্রমাণ করতে হবে কানাডা থেকে ফিরে আসবেন। ট্রাভেল রেকর্ড ও আর্থিক সক্ষমতা থাকলে এই ভিসা সহজে পাওয়া যায়।
- বিজনেস ভিসা: কানাডায় বিজনেস করতে চাইলে মিনিমাম ২ লাখ কানাডিয়ান ডলার ইনভেস্ট করতে হবে। তাহলে সহজে বিজনেস ভিসা পেয়ে যাবেন।
- ওয়ার্ক ভিসা: কানাডার কোন প্রতিষ্ঠানে কাজের অফার লেটার পেলে সহজে পেয়ে যাবেন কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা।
এছাড়া বাংলাদেশ থেকে আরও অনেক উপায়ে বৈধভাবে কানাডা যেতে পারবেন। ভিসা প্রত্যাশীদের ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা থাকা বাধ্যতামূলক। এজন্য আইইএলটিএস স্কোর প্রয়োজন হয়।
কানাডা যেতে কি কি লাগে?
কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিন্ন হয়ে থাকে। উন্নত এই দেশে যেতে হলে আগ্রহীদের যোগ্যতা অর্জন করতে হয়। তারপর ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
- বৈধ পাসপোর্ট
- কানাডা ভিসা আবেদন ফরম
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- ভিসা আবেদন ফি
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- আইইএলটিএস স্কোর
- আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ (ব্যাংক স্টেটমেন্ট)
- মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
- পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির অফার লেটার
- রিকমেন্ডেশন লেটার
- ট্রাভেল রেকর্ড
- NOC
কানাডা যেতে কত টাকা লাগে?
বাংলাদেশ থেকে কানাডা যাওয়ার খরচ ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী আলাদা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের ভিসা ক্যাটাগরিতে উন্নত এই দেশে যেতে পারবেন। যেমন: কৃষি ভিসা, শ্রমিক ভিসা, জব ভিসা, ওয়ার্ক ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা ইত্যাদি।
বর্তমান টুরিস্ট ভিসায় কানাডা যেতে প্রায় ৪ লাখ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা খরচ হয়। স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডা যেতে প্রায় ৫ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা লাগে। বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে কানাডা যেতে প্রায় ৮ লাখ টাকা থেকে ১৫ লাখ টাকা লাগে।
নিজে নিজে ভিসা প্রসেসিং করলে কানাডা যাওয়ার খরচ কম হয়ে থাকে। তবে বিভিন্ন বেসরকারি এজেন্সি কিংবা দালালের মাধ্যমে কানাডা ভিসা প্রসেসিং করলে ভিসা খরচ অনেক বেশি হয়ে থাকে। মনে রাখবেন, কানাডা যাওয়ার অফিসিয়াল খরচ কম।
FAQs
কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার খরচ কত?
কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার খরচ প্রায় ৫ লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা।
কানাডা টুরিস্ট ভিসা খরচ কত?
কানাডা টুরিস্ট ভিসা খরচ প্রায় ৫ লাখ টাকা থেকে ৮ লাখ টাকা।
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত?
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ প্রায় ১২ লাখ টাকা থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ থেকে কানাডার বিমান ভাড়া কত?
বর্তমান বাংলাদেশ থেকে কানাডার বিমান ভাড়া প্রায় ২ লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
কানাডা ভিসা আবেদন ফি কত?
কানাডা ভিসা আবেদন ফি ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী ১০০-২৫০ কানাডিয়ান ডলার হয়ে থাকে।