সরকারিভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায় ২০২৫
ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় অনেকে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সরকারিভাবে যেতে চায়। এজন্য সরকারিভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হয়।সরকারিভাবে ইউরোপে যেতে ভিসা খরচ কম হয়ে থাকে।
ইউরোপের দেশগুলোতে সাধারণত কাজের বেতন বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসা নিয়ে সরকারিভাবে ইউরোপে যেতে আগ্রহীদের সরকারিভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায় জানতে হবে।
এছাড়া ইউরোপের কোন দেশের ভিসা চালু আছে, কম খরচে ইউরোপের কোন দেশে যাওয়া যায়, কোন দেশের ভিসা পাওয়ার সহজ ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে হবে।
সরকারিভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে অনেকে বেসরকারিভাবে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে জীবিকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছে। এদের বেশিরভাগই সরকারিভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায় জানে না।
অনেকে অবৈধভাবে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাড়ি জমাচ্ছে। অবৈধভাবে ইউরোপে যাত্রা করলে পথিমধ্যে বিভিন্ন ধরনের বিপদের সম্মুখীন হতে হয়।
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে সরকারিভাবে শুধু ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যাওয়া যায়। স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে চাইলে নিজে নিজে ভিসা প্রসেসিং করতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বোয়েসেল, বিএমইটি ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সরকারিভাবে ইউরোপে যেতে পারবেন। বৈধ জব অফার লেটার থাকলে কাজের ভিসা নিয়ে ইউরোপে যেকোনো দেশে যেতে পারবেন।
স্টুডেন্ট ভিসায় ইউরোপে যেতে ভিসা আবেদনকারীদের ইউরোপের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অফার লেটার, ভাষা দক্ষতা এবং আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ প্রয়োজন হয়।
ইউরোপ যেতে কি কি লাগে?
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যেতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাগজপত্র লাগে। ভিসা ক্যাটাগরি ও দেশ অনুযায়ী ভিসা আবেদনের জন্য ভিন্ন কাগজপত্র লাগতে পারে। ইউরোপ যেতে যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন হয়:
- বৈধ পাসপোর্ট
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- বৈধ জব অফার লেটার
- বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অফার লেটার
- ভ্রমণের রেকর্ড
- মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
- পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট
- ভোটার আইডি কার্ড
- স্কিল সার্টিফিকেট
- আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ
- একাডেমিক সার্টিফিকেট
- একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট
- ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট
- রিকমেন্ডেশন লেটার
- জন্ম নিবন্ধন
ইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৫
ইউরোপ মহাদেশের ৫০টি দেশের মধ্যে ২৯টি সেনজেনভুক্ত দেশ রয়েছে। ইউরোপের অল্প কিছু দেশের এম্বাসি বাংলাদেশে রয়েছে। ইউরোপের সবগুলো দেশে বাংলাদেশ থেকে সরাসরি যাওয়া যায় না। কিছু দেশের ভিসা ভারতে গিয়ে প্রসেসিং করতে হয়।
বর্তমান ইউরোপের স্লোভাকিয়া, সার্বিয়া, সান মেরিনো, রোমানিয়া, পর্তুগাল, পোল্যান্ড, নরওয়ে, উত্তর মেসিডোনিয়া, নেদারল্যান্ড, মন্টিনিগ্রো, মাল্টা, মোনাকো, লুক্সেমবার্গ, ইতালি, গ্রিস, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড, বুলগেরিয়া, বেলজিয়াম, অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স, হাঙ্গেরি, আলবেনিয়া, সাইপ্রাস, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, সুইডেন প্রভৃতি দেশে যাওয়া যায়।
কম খরচে ইউরোপের কোন দেশে যাওয়া যায়?
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে যাওয়ার ভিসা খরচ সাধারণত বেশি হয়ে থাকে। এজন্য অনেকে ইন্টারনেটে কম খরচে ইউরোপের কোন দেশে যাওয়া যায় লিখে সার্চ করে থাকে।
বর্তমান কম খরচে ইউরোপের রোমানিয়া, ফ্রান্স, মাল্টা, পর্তুগাল, নেদারল্যান্ড, পোল্যান্ড, সাইপ্রাস, বুলগেরিয়া, গ্রিস ইত্যাদি দেশে যেতে পারবেন।
ইউরোপের কোন দেশের ভিসা পাওয়ার সহজ?
ইউরোপে যেতে আগ্রহীদের ইউরোপের কোন দেশের ভিসা পাওয়া সহজ জানা উচিত। তাহলে ইউরোপে বসবাসের স্বপ্ন সহজে বাস্তবায়ন করতে পারবেন। সেনজেন দেশে যেতে পারলে প্রায় ২৯টি দেশে ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারবেন।
বর্তমানে ইউরোপের ফিনল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, লিথুনিয়া, লাতভিয়া, স্লোভাকিয়া প্রভৃতি দেশের ভিসা পাওয়া তুলনামূলক সহজ। এসব দেশে স্টুডেন্ট, টুরিস্ট ও ওয়ার্ক ভিসা নিয়ে সহজে যেতে পারবেন।
FAQs
ইউরোপের কোন দেশে যাওয়া সবচেয়ে সহজ?
ইউরোপের লিথুনিয়া দেশে যাওয়া সবচেয়ে সহজ।
ইউরোপের কোন কোন দেশের এম্বাসি বাংলাদেশে আছে?
ইউরোপের ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, সুইডেন, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড প্রভৃতি দেশের এম্বাসি বাংলাদেশে আছে।
IELTS ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়?
IELTS ছাড়া ইউরোপের জার্মানি, পোল্যান্ড, নরওয়ে, লাটভিয়া, হাঙ্গেরি, এস্তোনিয়া প্রভৃতি দেশে যাওয়া যায়।
ইউরোপের কোন দেশে ফ্রি পড়া যায়?
ইউরোপের দেশ জার্মানিতে ফ্রি পড়ালেখা করা যায়।
ইউরোপের কোন দেশ ভালো?
ইউরোপের ফ্রান্স সবচেয়ে ভালো দেশ।